এ কথার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে চান্দিনা থানার দক্ষিন অংশকে আলাদা থানা হিসাবে রুপান্তরিত করার উদ্দেশ্যে এতদাঞ্চলের সকল রাজনৈতিক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, সমাজসেবক নেতৃবৃন্দ সম্মিলিতভাবে আলোচনায় বসার পর এ অঞ্চলের রাজনৈতিক -ধর্মীয় ও সংস্কৃতিক প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্ব দিয়ে তাঁরা সর্ব প্রথম ধর্মীয় দিক পর্যালোচনা করে দেখেন ৩০০শতাব্দী থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬০০ শত বছর ত্রিপুরা অঞ্চলে রাজা জমিদার সবে মিলিয়ে ১৪৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। তন্মধ্যে বড়কামতা (চান্দিনা) রাজধানীতে ২৬ জন রাজার শাসেনর কথা উল্লেখ রয়েছে। রাজ-রাজন্যগণ প্রত্যেকে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ছিলেন বৌদ্ধদের ধর্মীয় খেতাব বড়ুয়া। এদের মধ্যে খড়গবংশীয় রাজা রাজভট্ট(৫২৫-৭২৫) দুইশত বছর রাজত্ব কালে তিনি চার হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষকে পৃষ্ঠপোষকতা ও তাদের সকল ব্যয়ভার বহন করে সমাজ সেবার যে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন তার ওপর ধর্মীয় গুরুত্ব দেন।
দ্বিতীয়ত: নেতৃবৃন্দ এ অঞ্চলের সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর বিষদ আলোচনা করে দেখেন এ অঞ্চলে অধিকাংশ স্থানে পান চাষ করা হচ্ছে ( যা এখনো বিদ্যমান)। যারা পান চাষ কের তাদেরকে বারই বলে এবং পান চাষকৃত জমিকে (বরজ) অাঞ্চলিক ভাষায় বর বলা হয়। নেতৃবৃন্দ ধর্মীয় প্রভাব এবং সংস্কৃতিক ঐতিহ্য এ দুটি বিষয়কে সমন্বয় করে নতুন থানার একটি নাম করণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারি ধারাবাহিকতায় ধর্মীয় ঐতিহ্যের বড়ুয়া এর দ্বিতীয় শব্দাংশের ''ড়ুয়া'' এবং সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের "বর" অর্থাৎ বর+উ+র+আ= "বরুড়া" নামকরণ করে চান্দিনার দক্ষিন অংশের নতুন থানার নামকরণ করেণ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস